নিজস্ব প্রতিবেদক: অরূপান্তরযোগ্য (নন-কনভার্টেবল) বন্ডকে রূপান্তরযোগ্য (কনভার্টেবল) করতে চায় ব্যাংক খাতের কোম্পানি যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত জুনে ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার পায় কোম্পানিটি। তবে যমুনা ব্যাংক লিমিটেড মূলধন বৃদ্ধির জন্য বে-মেয়াদি বন্ড ছেড়ে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে চায়। মূলত শেয়ারে অরূপান্তরযোগ্য বন্ডকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে রূপান্তরযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। গত সোমবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিনিয়োগকারীদের সম্মতির প্রয়োজন হবে। এজন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আয়োজন করেছে। অনলাইনের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় যমুনা ব্যাংকের নন-কনভার্টেবল, পারপিচুয়াল বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন বন্ডটির বৈশিষ্ট্য ছিল, শেয়ারে অরূপান্তরযোগ্য, সুদের হার ভাসমান (ফ্লোটিং রেট) এবং আনসিকিউরড।
ব্যাংকের প্রাইমারি রেগুলেটর বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত বন্ডের অনুমোদন দেওয়ার সময় এটিকে শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত দিয়েছে। তবে ব্যাংকটির সিইটি-১ ক্যাপিটাল চার দশমিক পাঁচ শতাংশের নিচে নামলেই শুধু এ শর্ত প্রযোজ্য হবে। আর ক্যাপিটাল ওই সীমার উপরে থাকলে বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করতে হবে না।