অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ১৫ বছরের কর সুবিধা চায় বেজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে সরকার। এতে বিনিয়োগ ও ভারী শিল্প স্থাপনে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে কর অবকাশ সুবিধা দিচ্ছে সরকার এবং বিদ্যুতের মতো ভারী শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ প্রদানে ১৫ বছর কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। সম্প্রতি বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুবের সই করা একটি চিঠি এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে অর্থনৈতিক অঞ্চলে সব ব্যবসায়িক কার্যক্রমের আয়ের ওপর ১০ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দিচ্ছে সরকার। ফলে বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসছেন। বর্তমানে বেসরকারি খাতে ১৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স ও ছয়টি কোম্পানিকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে ছাড় দিয়ে আসছে। বিশেষ করে ১৫ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে কোনো শিল্প স্থাপন ও তার আয়ের ওপর ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ একটি ভারী শিল্প ও প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধি ও শিল্প সচলে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হবে, তা হবে মানসম্মত। সেজন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের মতো অর্থনৈতিক অঞ্চলেও প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসা হতে অর্জিত আয়ের ওপর ১৫ বছর শর্তসাপেক্ষে শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন সদস্য শেয়ার বিজকে বলেন, আজই (গতকাল) এ ধরনের একটি চিঠি পেয়েছি। যেহেতু অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত সব শিল্পের আয়ের ওপর ১০ বছর কর অবকাশ সুবিধা রয়েছে, সেহেতু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ১৫ বছর কর সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তবে পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর।
এ বিষয়ে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী শেয়ার বিজকে বলেন, মিরসরাই ইকোনমিক জোনে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে। বর্তমানে ১৫০ মেগাওয়াট নির্মাণাধীন। এছাড়া অন্যান্য ইকোনমিক জোনেও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে। এ খাতে বিনিয়োগে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ইকোনমিক জোনের বাইরে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ১৫ বছরের কর অবকাশ সুবিধা রয়েছে। ইকোনমিক জোনেও আমরা সুবিধা চেয়েছি। এনবিআর যাতে বিষয়টি স্পষ্ট করে।
সূত্র জানায়, রামপাল ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেসরকারি খাতে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছে সরকার। বর্তমানে সরকারি ৩২ বিদ্যুৎকেন্দ্রে চার হাজার ৬০৬ মেগাওয়াট, বেসরকারি ৫৬ কেন্দ্রে চার হাজার ২১৩ মেগাওয়াট, গ্যাসভিত্তিক পাঁচ হাজার ১৪৬ মেগাওয়াট, তরল জ্বালানিভিত্তিক তিন হাজার ৬৭০ মেগাওয়াট, সৌর জ্বালানি থেকে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি খাতে ৫৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০