Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:29 am

অর্থবছরের সাত মাস: রফতানি বাড়লেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশের রফতানির পরিমাণ গত বছরের ওই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ১০৪ কোটি ডলার। এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে দুই হাজার ১১ কোটি ডলার। শতকরা হিসাবে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ কম হয়েছে।
গতকাল সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ-সংক্রান্ত হিসাব প্রকাশ করেছে। তাতে কৃষিপণ্য ও শিল্পের পাশাপাশি সেবা খাত হিসেবে কম্পিউটার সার্ভিসের রফতানির হিসাব করা হয়েছে। দেখা গেছে, অর্থবছরে রফতানি আয়ের টার্গেট ছিল তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। সে হিসাবে অর্থবছরের বাকি সময়ে টার্গেট পূরণ করতে হলে এক হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার রফতানি আয় করতে হবে।
সূত্রমতে, গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি আয় ছিল এক হাজার ৯২৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। সে তুলনায় এ বছর রফতানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এদিকে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রফতানির আয়ের পরিমাণ জানা গেছে ৩৩১ কোটি ডলার। এটা গত বছরের জানুয়ারি মাসের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে রফতানি আয়ের টার্গেট ছিল ৩৪০ কোটি ডলার। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় পিছিয়ে আছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সূত্রমতে, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে তৈরি পোশাক খাতে। এ খাতের রফতানির পরিমাণ এক হাজার ৬৪১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এটা এ সময়ের মোট রফতানির ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতে ৮০৬ কোটি ও ওয়েভেন গার্মেন্ট খাতে ৮৩৫ কোটি ডলার রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বাড়লেও ওভেন খাতে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।
শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য খাতের মধ্যে হিমায়িত খাদ্যে ৩৩ কোটি, চিংড়ি ২৮ কোটি, কৃষিপণ্যে ৩০ কোটি, চামড়াজাত পণ্যে ৭৪ কোটি, পাট ও পাটজাত পণ্যে ৫৬ কোটি এবং ক্ষুদ্র প্রকৌশল পণ্যে ২৮ কোটি ডলার রফতানি হয়েছে গত সাত মাসে।
উল্লেখ্য, ওইসব খাতের মধ্যে হিমায়িত খাদ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল গত বছরের চেয়েও কম। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও গত বছরের চেয়ে রফতানি কম হয়েছে। কৃষিপণ্য রফতানিতে গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সেবা খাতের মধ্যে কম্পিউটার সেবায় ৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছে।