Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 5:53 pm

অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০%

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত এপ্রিলে ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রেমিট্যান্স দাঁড়াল এক হাজার ৩৩০ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা যায়, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে এক হাজার ২০৯ কোটি ২৩ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।
মাসওয়ারি রেমিট্যান্সের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে রেমিট্যান্স সামান্য কমেছে। গত মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। তবে গত অর্থবছরের এপ্রিলের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশ খানিকটা বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ১৩ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, জানুয়ারিতে যা ছিল ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠানোর ফলে জানুয়ারিতে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে।
দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের তেজিভাব বজায় থাকায় এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিদেশি দূতাবাসগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে খরা কাটিয়ে গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে সাড়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা দেয়। ওই অর্থবছরে মোট এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে। এর আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল দেশে এক ডলারের দর ছিল ৮৪ দশমিক ৪৫ টাকা। গত বছরের ৩০ এপ্রিল এক ডলারের দর ছিল ৮২ দশমিক ৯৮ টাকা। সে হিসেবে এক বছরে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় দেড় টাকা (১ দশমিক ৪৭ টাকা)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গতকাল শেয়ার বিজকে বলেন, ‘সামনে রোজা, ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার চাপ আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমরা ব্যাংকগুলোকে বলেছি রেমিট্যান্স বাড়িয়ে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে তারা যেন তৎপর থাকে। ফলে ব্যাংকগুলো এখন রেমিট্যান্সের বিষয়ে অনেক তৎপর। তাছাড়া রোজা উপলক্ষে স্বজনদের কাছে বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা।’ রোজার ঈদের আগে, অর্থাৎ মে মাসে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।