অর্থবছর ২০১৭-১৮: অর্থমন্ত্রীর প্রাক্-বাজেট আলোচনা শুরু আজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে চলতি অর্থবছরের আটটি মাস। শুরু হয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রক্রিয়া। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গবেষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি শুরু করতে যাচ্ছেন বাজেট সংলাপ।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি) এবং অর্থনীতি সমিতির প্রতিনিধি ও গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন অর্থমন্ত্রী। গবেষকদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট আলোচনা চলবে আগামী ১১ মে পর্যন্ত। আগামী ৯ মার্চ একই স্থানে দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে অর্থমন্ত্রীর একাদশ বাজেট। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে এটি হবে তার টানা নবম বাজেট। সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। তবে শিগগিরই বাজেটের আকার সংশোধন করা হবে। এক্ষেত্রে কমে আসবে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা। ছোট হবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারও। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগ কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে অর্থবিভাগও সংশোধিত বাজেটে ব্যয়ের আকার নির্ধারণের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এনেছে।

বরাবরের মতো এবারও আগামী বাজেটও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত সেই বাজেটের ওপর ম্যাসব্যাপী আলোচনা শেষে ৩০ জুন পাস হবে বাজেট। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ২০১৭-১৮ অর্থবছর। অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন বাজেট প্রণয়নের নীতিগত দিক সম্পর্কে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে প্রাক-বাজেট আলোচনার সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে। সূচি অনুযায়ী আগামী ২৩ মার্চ এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। এছাড়া ৩১ মার্চ অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত। অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক হবে ২ এপ্রিল। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে ৪ ও ৬ এপ্রিল বৈঠক হবে। সচিবদের সঙ্গে বৈঠক হবে ৩০ এপ্রিল। সর্বশেষ ১১ মে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে অর্থমন্ত্রীর প্রাক-বাজেট আলোচনা।

এদিকে আগামী অর্থবছর রাজস্ব বিভাগের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন বাস্তবায়ন। এরই মধ্যে আইনটি বাস্তবায়ন নিয়ে কয়েক দফা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে এবার আইনটি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর এনবিআর।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০