নিজস্ব প্রতিবেদক: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ এবং ট্রেজারার ও মিশন লিডার পিয়েরে ভ্যান পিটহেমসহ একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সচিবলয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি আমাদের দেশে শিল্পায়নে বিকল্প উৎস হিসাবে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। বিভিন্ন খাতে এডিবি আগে থেকেই কাজ করছে, এবার এ খাতে তারা কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবির সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা করপোরেট হাউসের জন্য করপোরেট বন্ডের ব্যবস্থা করতে চায়। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদেরও বন্ডের মাধ্যম অর্থায়ন করতে চায়। তিনি বলেন, এ বন্ড হবে টাকায়, সুতরাং আন্তর্জাতিক বাজারের এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। তাছাড়া এডিবির এ অর্থায়নের মাধ্যম ব্যাংকিং খাতের ওপরও যে চাপ রয়েছে, সেটিও অনেকাংশে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এতে শর্ট টার্ম ডিপোজিট নিয়ে লং টার্ম লোনের সংস্কৃতি থেকেও দেশের আর্থিক খাত বের হয়ে আসতে পারবে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অব ইউএই এম্বাসি আবদুল্লাহ আলির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরএকে ব্যাংক আমাদের দেশীয় কোনো ব্যাংকের সঙ্গে পার্টনারশিপে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা করতে চায়। এটি বাস্তবায়িত হলে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ অনেকগুণ বেড়ে যাবে। কেননা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের প্রচুর প্রবাসী রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ, যে দেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ করেছে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে, যেটা তাদের জন্য ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য প্রবাসীরা ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স পাঠায়। এটাকে বৈধ পথে আনার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জনতা ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তাদের শাখার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। এজন্য উভয় ব্যাংকের মধ্যে পার্টনারশিপ চুক্তি করা যাবে।