অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তিন উপব্যবস্থাপক ও সাবেক দুই কাস্টমস কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার কমিশন এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চার কোটি ৯১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উপব্যবস্থাপক বুলবুল আক্তার, সৈয়দ নাজমুল আরেফিন ও রওশন আরা, সাবেক শুল্ক পরিদর্শক কালিপদ দাস ও কাজী রফিকুল ইসলাম, বিমানের হিসাব তত্ত্বাবধায়ক এবিএম জাকারিয়া এবং ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রুবেল। এদের মধ্যে সৈয়দ নাজমুল আরেফিনকে গত বছরের ২৮ আগস্ট দুদক গ্রেফতার করে।

দুদক জানায়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ডিপ্লোম্যাটস অ্যান্ড প্রিভিলেজড পারসন্স ট্যাক্স ফ্রি শপে দায়িত্বরত ছিলেন এসব কর্মকর্তা। সে সময় তারা প্রতারণা, জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কূটনীতিক ও বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের জন্য করমুক্ত দোকানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ খোলাবাজারে বিক্রি করে তা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ওইসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের এপ্রিলে মামলা হয়।

তারা কূটনীতিক ও বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নামে ইস্যু করা ২১৬টি জাল পাস বইয়ের বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মদ ও সিগারেট করপোরেশনের দোকান থেকে তুলে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়। করমুক্ত এ দোকানের পণ্য শুধু কূটনীতিক ও বিশেষ সুবিধাভোগীদের জন্য। ওই সব পণ্য বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়।

মামলার তদন্ত করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন। তাঁর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়। শিগগিরই বিচারিক আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০