শেয়ার বিজ ডেস্ক:দুর্নীতি করে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগে পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো মার্টিনেলিকে ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। শাস্তি বহাল থাকলে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। খবর: ডয়চে ভেলে।
আগামী বছর পানামায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে রিকার্ডো মার্টিনেলির আবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিবল্পনা জোর ধাক্কা খেল।
গত মঙ্গলবার অর্থ পাচারের দায়ে তাকে ১২৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন পানামার আদালত। পাশাপাশি ১৯ দশমিক ২ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর ৭১ বছর বয়সি সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবী কার্লোস ক্যারিলো এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আপিল মামলায় হেরে গেলে রিকার্ডো মার্টিনেলি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে আইনজীবী জানিয়েছেন, মার্টিনেলি পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, তার সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই।
রিয়ালিজান্ডো মেটাস পার্টির নেতা রিকার্ডো মার্টিনেলি অবশ্য নিজেকে পুরোপুরি নির্দোষ দাবি করেছেন। তার দাবি, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতেই দুর্নীতির এ মিথ্যা অভিযোগ। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তারা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাইছে তা আমরা জানি। কিন্তু অবৈধ তহবিলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পানামার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিকার্ডো মার্টিনেলি। অর্থ পাচার ছাড়াও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তার দুই সন্তানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে তার দুই সন্তান গুয়েতেমালা ও যুক্তরাষ্ট্রের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফেরেন। তাদের বিরুদ্ধেও অর্থ পাচারের মামলা ছিল।
মে মাসে পোলিং ফার্ম ক্যাম্পেইনস অ্যান্ড ইলেকশনস মেক্সিকো জানায়, নির্বাচনে মার্টিনেলি এগিয়ে। জনপ্রিয়তা তার পেছনে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্টিন টরিজোস।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে মার্টিনেলিকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে নিজের মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর গুপ্তচর লেলিয়ে দেয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাসহ কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তির ফোন ট্যাপ করিয়েছিলেন তিনি।