শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারত ৫০টির বেশি পণ্যের ওপর বিক্রয় কর কমিয়েছে। ব্যবসায়ী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী বছর নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এটি একটি কৌশল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর এএফপি।
প্রতিবেদনমতে, এক বছর আগে দেশব্যাপী গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) চালু করে ভারত সরকার। এতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অপ্রত্যাশিতভাবে এ ট্যাক্স বাস্তবায়ন করায় ভোটাররা নিরাশ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছেন। তাই ট্যাক্স কমিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে চাচ্ছেন তিনি।
ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল পরিচালিত জিএসটি কাউন্সিল রঙ, চামড়াজাত পণ্য, বাসের মেঝে, চুলা, টেলিভিশন ও ওয়াশিং মেশিনে ২৮ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৮ শতাংশ করতে রাজি হয়েছে। গত শনিবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে গয়াল বলেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে এবং সেনিটারি প্যাড ও শিশুদের দুধ পুরোপুরি করমুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনমতে, সারে ব্যবহার করা ফসফরাস এসিডে কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনকারীদের জন্য লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে কর ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুলাই থেকে এ কর হ্রাস কার্যকর হবে।
গত বছর সব ধরনের স্যানিটারি পণ্যের ওপর ১২ শতাংশ কর আরোপ করে ভারত। কিন্তু কর আরোপের এক বছর পর তা বাতিল করার ঘোষণা দিল ভারত সরকার। দেশটিতে মহিলাদের মাসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা সাচ্চি সাহেলি এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুরভি সিং এ বিষয়ে বলেন, মাসিক চলাকালে ছোট মেয়ে ও নারীদের স্কুল এবং কর্মক্ষেত্রে যাওয়া অব্যাহত রাখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নারীদের উন্নয়নে ও সত্যিকার কর্মক্ষমতা প্রকাশে উৎসাহ দেবে। ভারত সরকার স্যানিটারি প্যাডকে বিলাসদ্রব্যের আওতায় ফেলে এর ওপর ১২ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ভারত সরকার।