Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 9:25 pm

অর্ধেক মেশিন বন্ধ থাকায় লোকসানে মোজাফ্ফর স্পিনিং

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে মহাসড়ক রয়েছে প্রায় আট হাজার ৬০ কিলোমিটার। তবে এসব মহাসড়কের পাশে যাত্রী ও পণ্য ওঠানামার জন্য কোনো বাস-বে কিংবা ট্রাক-বে নেই। এতে মহাসড়কের পাশেই বাস-ট্রাক থামিয়ে পণ্য ও যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। ফলে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই নতুন মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে বাস-বে ও ট্রাক-বে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। পাশাপাশি নতুন মহাসড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিপত্র জারি করা হয়। এতে চার দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে তিন হাজার ৮১২ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ও চার হাজার ২৪৬ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রায় ৮৭ কিলোমিটার চার লেনে উন্নীতকরণের সময় কয়েকটি বাস নির্মাণ করা হয়। বাকি সব মহাসড়ক দুই লেনের। তার ওপর এগুলোয় কোনো বাস-বে কিংবা ট্রাক-বে নেই। ফলে মহাসড়কের পাশেই বিশেষত ব্যস্ত ও বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশেই বাস-ট্রাক থামিয়ে যাত্রী ও পণ্য ওঠানামা করানো হয়। ফলে প্রায়ই এসব এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই নতুন মহাসড়ক নির্মাণে বাস-বে ও ট্রাক-বে নির্মাণের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) কর্তৃক মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে নি¤œবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্তপূর্বক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। মহাসড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন প্রকল্পে ড্রেন নির্মাণের সংস্থান রাখতে হবে। এছাড়া নতুন মহাসড়কের পাশে যথাসংখ্যক বাস-বে ও ট্রাক-বে নির্মাণের সংস্থান রাখতে হবে।
এদিকে দেশে নতুন করে আর মহাসড়ক প্রয়োজন নেই বলে সম্প্রতি একনেক বৈঠকে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে রেলপথ ও নৌপথের প্রতি জোড় দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাসড়ক নির্মাণে কম সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনাও পরিপত্রে জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
পরিপত্রে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেন বা তার অধিক লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে জোনওয়ারি গুচ্ছ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সরেজমিন মহাসড়কের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যথাস্থানে প্রযোজ্য সাইন-সিগন্যাল নির্মাণ বা স্থাপন করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) পরিশিষ্ট আকারে তার বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।