অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ শতাংশ

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ৬ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩২টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৯ কোটি ২ লাখ টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৬১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮৪ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৫১ পয়সা। এদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, আর ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২১ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৮৪ পয়সা।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৩৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা। বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২ কোটি ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং হা ওয়েল টেক্সটাইল লিমিটেডের ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০