আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টি এগিয়ে এসে ঝরা শুরু করেছে বৈশাখে! বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কিংবা অন্য যে কোনো কারণেই হোক, হুটহাট বৃষ্টিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরবাসী। হঠাৎ রোদ, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা যেমন দ্রুত ওঠানামা করে, তেমনই কিছু রোগ-বালাইও নিয়ে আসে। টানা কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। এর কবল থেকে মুক্তি পায় না কেউই। সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, টাইফয়েড, জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় ও জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু উপায় দেখে নিতে পারেন।
সতর্ক থাকুন পানি পানে
নগরে জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে। ফলে এ সময় পানি দূষিত হয়ে পড়ে। সুপেয় পানির অভাব দেখা দেয়।
দূষিত পানি পান করার ফলে নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হন অনেকে। তাই পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। একই সঙ্গে রাস্তার পাশের কোনো শরবত খাওয়া উচিত নয়। তাছাড়া নর্দমা ডুবে যাওয়ায় পানি রাস্তায় চলে আসেÑএমন চিত্র হরহামেশাই দেখি। এসব পানি এড়িয়ে চলুন। কেননা তা চর্মরোগের কারণ হতে পারে। তাই ময়লা পানি শরীরে লাগলে বাসায় এসে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
বাইরের খাবারের বেলায় সতর্ক হোন
রাস্তার পাশের দোকানগুলোয় নানা লোভনীয় খাবার বিক্রি করতে দেখা যায়। এগুলোর গ্রাহকও কম নয়। স্ট্রিট ফুডের কদর সব দেশেই রয়েছে। তবে খাবারের সময় দেখে নিতে হবে তা স্বাস্থ্যসম্মত কি-না? তাছাড়া এ সময় ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েডের মতো সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকতে বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো।
বৃষ্টিতে ভিজবেন না
যতটা পারেন বৃষ্টি এড়িয়ে চলতে হবে। এ জন্য ছাতা কিংবা রেইনকোট ব্যবহার করতে পারেন। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাসায় ফিরেই পাল্টে নিন পোশাক-পরিচ্ছদ, পুরো শরীর মুছে নিন ভালোভাবে। সেরে নিতে পারেন গোসলও।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন
পরিধেয় পোশাক-পরিচ্ছদ ও অন্য জিনিসপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দূরে রাখে অনেক রোগ। এ সময় এর বিকল্প নেই।
পরিষ্কার রাখুন চারপাশ
বাড়ির আশপাশের জলাবদ্ধতা দূর করার চেষ্টা করুন। বাড়ির ভেতর কিংবা বাইরে দু’দিন বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। অন্যথায় এসব পানির কারণে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।