শেয়ার বিজ ডেস্ক:অস্ট্রেলিয়ার গরু ও মহিষ আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় গরুর মধ্যে একটি সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর জীবিত গরুর আমদানি নিষিদ্ধ করেছে মালয়েশিয়া। খবর: আল জাজিরা।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এরপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তটি সাময়িক বলে জানায় মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়ার আমদানি করা গরুতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ধরা পরার পর গত মাসে ওই সিদ্ধান্ত নেয় কুয়ালালামপুর। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ১৩টি গরুতে এলএসডি শনাক্ত হয়। এরপর চারটি ফ্যাসিলিটি থেকে আমদানি বন্ধ করে তারা।
মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি, মৎস্য ও বন বিভাগ। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিভাগটি জানিয়েছে, এটা হচ্ছে সরকারের চেষ্টার সমন্বিত ফল।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, অস্ট্রেলিয়ার গবাদি পশু উৎপাদকদের জন্য উদ্বেগের কারণ নেই। কারণ অস্ট্রেলিয়া এখন এলএসডিমুক্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে রপ্তানি অব্যাহত থাকবে, এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াও রয়েছে।
এলএসডি সাধারণত কীটপতঙ্গের কামড় থেকে গবাদিপশুতে ছড়ায়। এতে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। এ রোগে আক্রান্ত পশুদের মধ্যে দুধ দেয়ার হার কমে আসে এবং বাচ্চাগুলোর মধ্যে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
মালয়েশিয়া প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৫৫ লাখ ডলার মূল্যের গরু ও মহিষ আমদানি করে।
মূলত পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে রপ্তানিকৃত গরুর মধ্যে এলএসডি দেখা গেছে। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত গরুগুলো এখানকার ব্রুম ও ডারউইন শহর থেকে রপ্তানি করা হয়েছিল। দেশটি অস্ট্রেলিয়া থেকে গত বছর তিন লাখ ৩৭ হাজার গবাদিপশু আমদানি করে, যার দাম ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ডলার।