ক্রীড়া প্রতিবেদক: কোন বড় দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সে সুযোগ আপাতত পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এরইমধ্যে টাইগাররা জানতে পেরেছে আগামী জুনে আসছে না অস্ট্রেলিয়া। মূলত করোনার কালো থাবায় স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের লড়াই। ব্যাপারটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজ খেলার সুযোগ বাংলাদেশের খুব একটা হয়না, তাই তো তাদের বিপক্ষে কাঙ্খিত সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়া হতাশার। তবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক এর মধ্যেও খুঁজে নিচ্ছেন ইতিবাচক দিক, ‘আমি সিরিজটা স্থগিত হওয়ায় আমি তেমন একটা হতাশ না। বরং পরবর্তীতে আমাদের পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলার দুয়ার খুলে দিয়েছে।’
আপাতত স্থগিত হলেও অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সিরিজ হতে পারে আগামী বছরের জুনে। যদি তাই হয়, তাহলে ঐ সময় পূর্ণ শক্তির দল পাবে টিম টাইগার্স। এ ব্যাপারে মুমিনুল বলেন, ‘যদি সিরিজটা আগামী বছরে গিয়ে পড়ে তবে আমরা দলে সাকিব ভাইকে ফিরে পাবো। সাকিব ভাই দলে থাকলে এমনিতে সবাই উজ্জীবিত থাকেন। তাকে ছাড়া দলে আমার অতিরিক্ত একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের দিকে ঝুঁকতে হয়। একদিন থেকে সিরিজটা বাতিল হওয়া তাই ভালোই বলতে হবে। সিরিজটা যদি আগামী বছরের এপ্রিলে হয় আমরা আরও প্রস্তুত সাকিব ভাইকে পাবো। অধিনায়ক হিসেবে আমি অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে আমাদের সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে চাই।’
সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে মাঠে ফিরবেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্টটা তাই পিছিয়ে আগামী বছর গেলে খেলতে পারবেন তিনি।
করোনার কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ে না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যে কারণে ঐ দুই টুর্নামেন্টে সাকিবের খেলার আশা বাড়ছে। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের আগে টাইগারদের খেলতে হবে বাছাইপর্ব।