Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 12:42 am

অস্তিত্বহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সৈয়দপুরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই। এটি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয় বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল ইউজিসি থেকে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব সম্পর্কে কমিশন অবগত নয়। এই নামে কোনো প্রকল্প প্রস্তাবও ইউজিসিতে পাঠানো হয়নি।

অস্তিত্ববিহীন এ প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চেয়েছে ইউজিসি। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি গণবিজ্ঞপ্তি ইউজিসি থেকে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) পরিচয়দানকারী অধ্যাপক ড. এবিএম শরিফুজ্জামান শাহ সম্প্রতি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে জনবল নেয়া হবে উল্লেখ করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে সংসদ সদস্য (৩২৩ মহিলা আসন) রাবেয়া আলীমকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সংবাদ, জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয় ইউজিসির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও চাকরিপ্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। আগ্রহীদেরকে প্রয়োজনে ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ও অনুমোদিত প্রোগামের তালিকা দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তথ্যমতে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদে ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। কাজেই এসব পদে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে নিয়োগ প্রদান করলে তা হবে সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। এছাড়া উপাচার্যবিহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রদত্ত সার্টিফিকেটও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।