নিজস্ব প্রতিবেদক:শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বিমা খাতের কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারদর ছিল ১৮৭ টাকা ৪০ পয়সা, যা গত ৪ জুলাই লেনদেন হয় ২৪৭ টাকায়। এ হিসেবে মাত্র ১১ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৫৯ টাকা ৬০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ৫ জুলাই ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৩ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৪ শেয়ার ২ হাজার ৯৮৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৬ কোটি টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৩১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪৬ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৩ কোটি ১৪ হাজার ২৩৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ও বাকি ৩৯ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। এর আগে ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৮ হিসাববছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন। তার আগের হিসাববছরে ৮ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।