নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ১৬ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত ২১ জানুয়ারি লেনদেন হয় ৩২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ৩ কর্মদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনিম্ন ৩১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৪০৩টি শেয়ার ৫ হাজার ৯৩৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৩২ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ১২ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৮৪ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫৯ পয়সা। লভ্যাংশ না দেয়ার এই সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১১ পয়সা। উল্লেখ্য যে, প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৫০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।