নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে। ৩১ জানুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১৭ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ১২ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয় ২৬ টাকা ১০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র ৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই, ২০২৩-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১২ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১ টাকা ৯১ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৯ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬৪ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ২৪ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ১ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪টি শেয়ার মোট ৫ হাজার ৪২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৮ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৩ টাকা ৬০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ২৭ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা (লোকসান)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ২৭ পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছরেও কোম্পানিটির দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা।