অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে ওয়াটা কেমিক্যালের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ২৪ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা, যা গত ২ জুলাই লেনদেন হয় ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ২ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৫৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬০ হাজার ৭১২টি শেয়ার মোট ৫৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১০৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০০ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ০৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৫১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা পাঁচ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ১৮ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৮৩ পয়সা।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার ৬১৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫০ দশমিক ৮৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১১৪ দশমিক ৩৬।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০