অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির গত ১২ ফেব্রয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত ১৫ ফেব্রয়ারি লেনদেন হয় ৩৯ টাকা ৮০ পয়সায়। এ হিসেবে ৩ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসএই। এভাবে কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ায় কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

তবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৮টি শেয়ার ১ হাজার ৪৭০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।

এদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরেরও বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮৭ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার শেয়াররের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ২ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ২ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৬৬ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৫ টাকা ৩৫ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫১ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০