নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্বাস্থ্যকর খাবারের সহজলভ্যতা ও বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানিয়েছে রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা। গতকাল সকালে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিবিময় সভায় এ দাবি জানান তারা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট সম্মিলিতভাবে এই সভার আয়োজন করে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী’র সভাপতিত্বে ও সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা নাঈমা আকতার। আরও বক্তব্য রাখেনÑরায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন, মোহাম্মদ শেখ আলাউদ্দিন, অভিভাবক শাহানাজ আক্তার, কল্পনা রানী রায়, মো. সোয়াইব খান পলাশ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলোÑবিভিন্ন রকম অসংক্রামক রোগ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের ভয়াবহতা বেড়েছে বহুগুণে। এর অন্যতম কারণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম। তাই ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তারা আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজšে§র কল্যাণ বিবেচনায় আমাদের এখন থেকেই অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে। কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার অর্থাৎ শাকসবজি-তাজা ফলমূল ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে সহজেই কায়িক পরিশ্রমের চাহিদা পূরণ সম্ভব। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতে উৎসাহী করা হলে একদিকে যেমন তাদের কায়িক পরিশ্রম হবে, তেমনি সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি গাড়ির ব্যবহার কমে গিয়ে বায়ুদূষণও হ্রাস পাবে।
অভিভাবকরা বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন ও সহজলভ্যতার ফলে শিশু-কিশোররা এ ধরনের খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ পরিবেশ না থাকায় বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এতে করে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এ সময় অস্বাস্থ্যকর খাবারের সহজলভ্যতা বন্ধ এবং হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা।
