Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 12:04 pm

অ্যাকটিভ ফাইন ও সোনালী আঁশের ঋণমান ‘এ+’

নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল লিমিটেড ও সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

গতকাল শেয়ারদর দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৩টি শেয়ার মোট ৯৩১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১২ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৪ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, বিদেশি তিন দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার।

সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

৩০ জুন-ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও এনএভি ২২৫ টাকা ১৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫৯ পয়সা ও ২২৪ টাকা ৫৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

গতকাল কোম্পানিটির ১৫ হাজার ৩৯১টি শেয়ার মোট ২১৯ বার লেনদেন হয়। এর বাজারদর ছিল ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক দশমিক ৯৭ শতাংশ বা চার টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২১ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২২৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৬৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

পাট খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।

১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ২৭ লাখ ১২ হাজার শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার।