ধুলো, ফুলের পরাগ ও রেণু অ্যাজমা বা হাঁপানি সমস্যা বৃদ্ধি করে, তা কমবেশি সবারই জানা। অত্যধিক কান্নার ফলেও বাড়তে পারে অ্যাজমা সমস্যা, তা কি জানেন? আপনার যদি অ্যাজমার সমস্যা থাকে, তাহলে এর প্রকৃত কারণটি জেনে রাখা দরকার। কী জন্য আপনার সমস্যাটি বৃদ্ধি পায়। এতে অ্যাজমা থেকে নিজেকে রক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হবে। চলুন জেনে নিই, কী কারণে বেড়ে যেতে পারে অ্যাজমা।
বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টি
কারেন্ট অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা নামের জার্নালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে বজ্রপাতের পর নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায় অ্যাজমা সমস্যা। বজ্রধ্বনির সময় পরাগরেণু বিদীর্ণ হয় ও বায়ুবাহিত অ্যালারজেন মুক্ত হয়। ফলে আক্রান্তদের অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বেশি হাসি বা কান্না
আবেগের চরম অবস্থায় হাঁপানি রোগীরা যদি প্রচণ্ড হাসেন বা কাঁদেন, তাহলে বায়ু চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। শ্বাসের ধরনের পরিবর্তন হয়। ফলে তাদের অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে এমনটিই জানিয়েছে ‘অ্যাজমা জার্নাল’ তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে।
স্ট্রেস
মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় বুকে আঁটসাঁট অনুভব করলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। ব্রেন, বিহেভিয়ার অ্যান্ড ইমিউনিটি জার্নালের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মানসিক চাপে ভোগার সময় বুকে চাপ অনুভব করা হাঁপানির লক্ষণ হতে পারে।
খাবারের রং
কৃত্রিম রং, সুগন্ধি ও প্রিজারভেটিভ অ্যাজমার কারণ হতে পারে। তাই প্যাকেটজাত খাবার কেনার সময় এর লেবেলটি ভালো করে পড়ে নিন। উত্তর আমেরিকার ইমিউনোলজি অ্যান্ড অ্যালার্জি ক্লিনিক নামে জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, সোডিয়াম বাইসালফাইট, সোডিয়াম সালফাইট ও পটাসিয়াম বাইসালফাইট যৌগগুলো অ্যাজমা বাড়ায়।
অ্যাসপিরিন
ড্রাগস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাজমা
আক্রান্ত অনেক বয়স্ক মানুষের মধ্যেই অ্যাসপিরিনের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা যায়। অ্যাসপিরিন খাওয়ার পর তাদের
মধ্যে অ্যাজমার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
নন-স্টেরিয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগ যেমন ইবোপ্রুফেন, নেপ্রোক্সেন অ্যাজমা সমস্যা বৃদ্ধি করে।
ট্রাফিক জ্যাম
অ্যাজমা রোগী হলে বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে ইনহেলার রাখতে হবে। কারণ রাস্তায় জ্যামে পড়লে অ্যাজমা সমস্যা বাড়তে পারে। এপিডেমিওলজি জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ ও ধোঁয়ায় অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ে।
এয়ার ফ্রেশনার ও সুগন্ধি মোমবাতি
এয়ার ফ্রেশনার ও সুগন্ধি মোমবাতি ঘরে সতেজতা ও সুগন্ধ দেয়। কিন্তু এসব পণ্য অ্যালার্জিকে তীব্র করে, জানিয়েছে আমেরিকান জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন।