অ্যান্টিবায়োটিকের খুচরা বিক্রি বন্ধ চান স্বাস্থ্যের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেছেন, জ্বর হলেই সাধারণ ওষুধের সঙ্গে দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট দু-তিনটা নিয়ে যাচ্ছে। এটি সাধারণ মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বড় কারণ। এজন্য নিয়ম করা প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে ফুল ডোজ কিনতে হবে, না হয় কিনবেন না।

গতকাল রোববার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মাইক্রোবিয়াল সমস্যাসহ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

ডা. এবিএম খুরশিদ আলম জানান, রোগীদের পকেটের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যে স্ট্যান্ডার্ড মেনে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে কি না, সেটিও একটি বড় ইস্যু। আমরা যদি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করি, প্রধানত আমাদের অপারেশন থিয়েটার কিংবা বেড থেকে সংক্রমণ হওয়ারই কথা নয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সেটি আমাদের এখানে হচ্ছে। আমাদের লোকজন বেশি, সুযোগ-সুবিধা কম।

তিনি বলেন, এছাড়া রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহƒত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অপারেশনের যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না করে বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সংক্রমণ হয়ে থাকে। অনেক জীবাণু আছে, যেটা গরম পানি দিয়ে বয়েল করার পরও মারা যায় না। এ জীবাণুও যাতে না থাকে, সেটার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ময়লা ফেলার জন্য আলাদা আলাদা বিন করে দিয়েছি। কিন্তু দেখা যায়, সব হাসপাতালের এই বিনগুলোর ময়লাকে নিয়ে সব একই জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। এতে সেখান থেকে পরিবেশ, মাটি, পানি ও শস্য ক্ষেতও জীবাণু সংক্রমিত হয়।

তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে আইন প্রয়োজন, সঙ্গে আইন প্রয়োগকারীও প্রয়োজন। এছাড়া দেখা যায়, ফার্মাসিস্ট কোম্পানিরা ইনসেনটিভ তো ডাক্তারকে দিচ্ছে, সঙ্গে কোয়াকদেরও দেয়া হচ্ছে। আমরা ডাক্তাদের বন্ধ করলেও কোয়াককে আইনের আওতায় আনা যাবে না। এজন্য শুধু আইন দিয়েও ব্যবস্থা হবে না।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০