নিজস্ব প্রতিবেদক: মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণের মৌসুম শুরু হচ্ছে এ মাসের মাঝামাঝি থেকেই। এর আগেই প্রস্তুত করতে হবে দেশের চার শতাধিক ব্যক্তিমালিকানাধীন হিমাগার। এজন্য হিমায়ক উপাদান হিসেবে প্রায় সাড়ে চার হাজার সিলিন্ডার অ্যামোনিয়া গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদামতো অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। মৌসুম শুরুর আগেই পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)।
সূত্রমতে, গত বছর চাহিদার মাত্র এক-পঞ্চমাংশ পূরণ করেছিল সরকারি কেমিক্যাল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিসিএসএ’র তথ্যমতে, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন সার-কারখানা থেকে চাহিদামতো অ্যামোনিয়া গ্যাস সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন হিমাগারে সরবরাহ করে সংগঠনটি। ২০১৬ সালে বিসিআইসির অধীন প্রতিষ্ঠান জামালপুরের যমুনা ফার্টিলাইজার কোং লি. ও নরসিংদীর ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে ৯৮০ সিলিন্ডার অ্যামোনিয়া গ্যাস সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন। যদিও হিমাগারগুলোর মোট বার্ষিক চাহিদা প্রায় সাড়ে চার হাজার সিলিন্ডার।
এ প্রসঙ্গে বিসিএসএ’র সভাপতি প্রকৌশলী মেজর (অব.) জসীম উদ্দীন শেয়ার বিজকে বলেন, দেশের হিমাগারগুলোতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সরবরাহে কম হওয়ায় প্রতিবছরই আলু সংরক্ষণ বিঘিœত হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশের হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণ শুরু হবে। একই সঙ্গে হিমায়ক উপাদান হিসেবে অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘চাহিদামতো ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস সরবরাহের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া আছে। তা সত্ত্বেও ফার্টিলাইজার কোং লি., ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লি., আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লি. ও শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লি. থেকে অ্যাসোসিয়েশন প্রয়োজনমতো গ্যাস পাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল শেয়ার বিজকে বলেন, ‘মৌখিকভাবে আমি গণমাধ্যমকে কিছু বলি না। এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানতে চাইলে আমাদের সংশ্লিষ্ট দফতর লিখিতভাবে জবাব দেবে।’
Add Comment