শেয়ার বিজ ডেস্ক: অবৈধ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার আয়ের অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমাজনের বিরুদ্ধে। খবর: রয়টার্স।
মুনাফা বাড়ানোর জন্য একাধিক অবৈধ কৌশল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমাজনের বিরুদ্ধে। কৌশলের মধ্যে রয়েছে একটি অ্যালগরিদমের ব্যবহার, যার মধ্যেমে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে কোম্পানিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) আদালতে দায়ের করা নতুন এক মামলায় এ তথ্য জানিয়েছে। এফটিসির মামলাটি সেপ্টেম্বরে দায়ের করা হলেও এর বিবরণ প্রকাশ করা হয় গত বৃহস্পতিবার।
এফটিসি বলেছে, আমাজনের অনলাইন সুপারস্টোরে এক বিলিয়ন আইটেম রয়েছে। নির্দিষ্ট পণ্যগুলো শনাক্ত করতে তারা প্রজেক্ট নেসি নামে গোপন অ্যালগরিদম কোড তৈরি করেছে। আমাজন নাগরিকদের পকেট থেকে সরাসরি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাগিয়ে নিতে প্রজেক্ট নেসি ব্যবহার করেছে।
আমাজনের মুখপাত্র টিম ডয়েল বলেছেন, এফটিসি দাম নির্ধারণের একটি টুলকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে। আমাজন বেশ কয়েক বছর আগে এটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে। দামের সাদৃশ্য বন্ধ করার জন্য নেসিকে ব্যবহার করা হয়েছে। অস্বাভাবিক ফলের কারণে দাম এত কম হয়ে গিয়েছিল যে সেটি টেকসই ছিল না।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য অনলাইন খুচরা বিক্রেতারা আমাজনের পণ্যের দাম ট্র্যাক করে কি না এবং প্রতিযোগীরা ট্র্যাক করতে পারে, এমন পণ্যগুলোর দাম বাড়ানোর জন্য আমাজন ২০১০ সালে ‘প্রাইজিং অ্যালগরিদম’ পরীক্ষা শুরু করে।
এফটিসির দাবি, খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর পর, আমাজন বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে থাকে। ফলে তাদের অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলার লাভ হয়েছে।
প্রাইম ডে সেলস ইভেন্টে যখন অনলাইন খুচরা বিক্রেতার প্রতি মিডিয়া ও গ্রাহকদের মনোযোগ ছিল, তখন প্রতিষ্ঠানটি অ্যালগরিদমটির ব্যবহার বন্ধ করে দেয়।
মামলায় বলা হয়েছে, মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরে যাওয়ার পর আমাজন প্রজেক্ট নেসিকে আবার চালু করে ও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একে আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।