Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:17 pm

অ্যালার্জির কারণ ও চিকিৎসা

(গতকালের পর)

বিশেষত রক্তে ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কি না, তা দেখা। সাধারণ অ্যালার্জির রোগীদের ক্ষেত্রে আইজিই’র মাত্রা বেশি থাকে। স্কিন প্রিক টেস্ট পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এ পরীক্ষায় কোন কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে, তা ধরা পড়ে। প্যাচ টেস্টে রোগীর ত্বকের ওপর করা হয়।

বুকের এক্স-রে: হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে অন্য কোনো কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না, নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই বুকের এক্স-রে করে নেয়া দরকার।

স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা: এ পরীক্ষা করে রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়।

সমন্বিতভাবে অ্যালার্জির চিকিৎসা

অ্যালার্জেন পরিহার: যখন অ্যালার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ওষুধ প্রয়োগ: অ্যালার্জিভেদে ওষুধ প্রয়োগ করে অ্যালার্জির উপশম অনেকটাই পাওয়া যায়।

অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি: অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যালার্জিজনিত রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোয় এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ ভ্যাকসিন পদ্ধতির চিকিৎসাকে অ্যালার্জিজনিত রোগের অন্যতম চিকিৎসা বলে অবহিত করেন। এটাই অ্যালার্জিক রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। আগে ধারণা ছিল অ্যালার্জি একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসাব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জিজনিত রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। (শেষ)

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ

দি অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা