Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:35 pm

অ্যালার্জি ও অ্যাজমা

গ্রিক শব্দ অু-গঅ থেকে অংঃযসধ শব্দের উৎপত্তি। অর্থ ‘দ্রুত শ্বাস নেওয়া’। অ্যাজমায় ফুসফুসের বায়ুনালিগুলো আক্রান্ত হয়। ফলে নালিগুলো অত্যধিক সংবেদনশীল হয়ে যায় এবং সহজে ফুলে ওঠে ও প্রদাহিত হয়। এতে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

 

অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা

অ্যাজমা রোগীদের মধ্যে এ ধরনের সংখ্যাই বেশি। অনেক উপসর্গ আছে, যেগুলো সব ধরনের অ্যাজমা রোগীর মধ্যে দেখা যায়। যেমন কাশির সাঁই সাঁই শব্দ, নিঃশ্বাস ছোট ও দ্রুত হয়ে আসা। বুক চেপে আসা। কিছু অ্যালার্জেনের কারণে অ্যালার্জিক অ্যাজমার তীব্রতা বেড়ে যায়। অ্যালার্জেনের মধ্যে আছে ধুলোর জীবাণু, পোষা প্রাণীর লোম ও বর্জ্য, পুষ্পরেণুর ছত্রাক প্রভৃতি। একটি জটিল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে এই অ্যালার্জেনগুলো ফুসফুসের বায়ুনালিগুলোয় প্রদাহ ঘটায়। ফলে এসব নালি ফুলে ওঠে এবং কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ অ্যাজমার উপসর্গগুলো দেখা যায়।

 

কারণ

অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমার সূত্র হিসাবে অ্যালার্জেনগুলোকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ রোগের মূল কারণ হচ্ছে এক ধরনের অ্যান্টিবডি আইজি-ই। কোনো অ্যালার্জেন দেহে প্রবেশ করলে তার প্রতিক্রিয়ায় এই এন্টিবডি তৈরি হয়। তারপর আইজি-ই ও অ্যালার্জেন মিলিতভাবে কিছু শক্তিশালী রাসায়নিক দ্রব্যের নিঃসরণ ঘটায়। এগুলোকে বলা হয় মেভিয়েটর। এদের দ্বারাই শ্বাসতন্ত্রের বায়ুনালিতে প্রদাহ ঘটে এবং সেগুলো ফুলে যায়।

চিকিৎসা

প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কোন এলার্জেন রোগের ট্রিগার হিসেবে কাজ করছে। তারপর পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে, যেন এলার্জেনগুলো থেকে দূরে থাকতে পারেন। তবে সব ধরনের এলার্জেন থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ডাক্তার রোগীকে কিছু ওষুধ দেবেন, যেগুলো আইজি-ই এন্টিবডিকে নিষ্ক্রিয় করে; ফলে প্রদাহ হতে পারে না। তবে কোন ধরনের ব্যবস্থাপনা রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ও ফলপ্রদÑতা খুঁজে বের করতে হবে ডাক্তার ও আপনার মিলিত চেষ্টায়।

 

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

অধ্যাপক, অ্যালার্জি বিভাগ

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও

দি অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার

পান্থপথ, ঢাকা