সাইদ সবুজ, চট্টগ্রাম: ২০২১-২২ অর্থবছরের অর্ধেক সময় এরই মধ্যে পার হয়েছে। তবে দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নভেম্বর মাসের রাজস্ব আয়ের হিসাব তারা শেষ করতে পারেনি। জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের সঙ্গে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের হিসাবে গরমিল থাকায় এমন হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে এনবিআর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও সোনালী ব্যাংক মিটিং করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
সূত্র জানায়, নভেম্বর মাসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম অনুসারে চট্টগ্রাম কাস্টমস রাজস্ব আয় করেছে চার হাজার ৭৪২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তবে সোনালী ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী টাকার অঙ্কের পরিমাণ আরও কম। দুই প্রতিষ্ঠানের হিসাব দুই রকম হওয়ায় নভেম্বর মাসের চূড়ান্ত হিসাব শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পরিসংখ্যান শাখার কতিপয় কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নভেম্বর মাস শেষে অ্যাসাইকুডা রাজস্ব আয় দেখাচ্ছে চার হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে হিসাব মিলছে না। কারণ নভেম্বরে মাসে সোনালী ব্যাংক থেকে ২৯ ও ৩০ তারিখের হিসাব পাওয়া যায়নি।
সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম কাস্টমস শাখার ম্যানাজার কাজী মোহাম্মদ নুরুল আজম বলেন, ‘এখন টাকা অনলাইনে পেমেন্ট হয়ে যাওয়ায় আমাদের এখানে আগের মতো টাকার লেনদেন হয় না। ফলে গরমিল হলেও কয়েক কোটি টাকার বেশি হবে না। তবে ২৯ ও ৩০ তারিখে আমাদের ব্যাংকের দিক থেকে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে কিছু টাকা গরমিল হলে সেটা কাস্টমসের সার্ভারের সমস্যার কারণে হতে পারে। ১ জানুয়ারি থেকে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না। তখন থেকে সব টাকা অনলাইনে পেমেন্ট হবে।’
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (প্রশাসন) সালাউদ্দিন রিজভী বলেন, ‘শুনেছি নভেম্বর মাসের টাকার হিসাবের গরমিল রয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল কাস্টম হাউসে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারাসহ এনবিআরের সঙ্গে জুম মিটিং হয়েছে। তবে সেকশনটি আমার না হওয়ায় আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।’
তবে পরিসংখ্যান শাখার দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার আয়শা সিদ্দিকা জানান, ‘গতকাল আমাদের হাউসে মিটিংয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। কারণ টাকাটা কোথায় গরমিল হয়েছে, সেটা এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ (বৃহস্পতিবার) কমিশনার স্যার এনবিআরের রাজস্ব মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। সেখানে সমাধান না হলে ওই দিনগুলোয় যত কনসাইন্টমেন্ট হয়েছে, সবগুলো আলাদা করে হিসাব করতে হবে। বিষয়টি জটিল। কারণ নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কোথায় সমস্যা হয়েছে।