আইএফআইসি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি এবং দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি। আর তাদের প্রাপ্ত রেটিং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)।

এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৮৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪০ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর এই রেটিং দিয়েছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংক ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।

চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৯২২ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১৯২ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, সরকারি ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস ১১ পয়সা কমেছে। এদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯৬ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ২ টাকা ৯৭ পয়সা ছিল।

এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যাংকটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২.৫০ শতাংশ নগদ ও ২.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯ পয়সা (ঘাটতি)।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০