আইএফআইসি ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি পরিচালনা পর্ষদের ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যাংকটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২.৫০ শতাংশ নগদ ও ২.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পেল। অনুমোদিত বোনাস শেয়ারের জন্য আগামী ২৫ মে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ জুন সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে, কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস ১৭ পয়সা বেড়েছে। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৭ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৭ টাকা ১৪ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৮৫ পয়সা ছিল।

ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংক ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৭৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৭৮ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৯৩৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, সরকারি ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০