নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে আইএফআইসি ব্যাংক এবং কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা দুই পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ১২ পয়সা ও ১৬ টাকা আট পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৫৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট বিকাল ৪টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুলাই।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ আট টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল আট টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৭১টি শেয়ার মোট ৬৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ আট টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সাত টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৭২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৯৫ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ৬০৯টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আট দশমিক ৩৩ শতাংশ, সরকারি ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বিদেশি এক শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৪ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫৫ পয়সা ও ১৯ টাকা ৫৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ আগস্ট বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জুলাই।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট তিন কোটি ৮১ লাখ ১০৩টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার।