আইএমএফের সহযোগিতা চেয়েছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে।

গতকাল সোমবার বিকালে বিএসইসি কার্যালয়ের এ বৈঠকে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব পাওয়ার পর মার্কেটের উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেসব বিষয় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্য থেকে মোটাদাগে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানা গেছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে সব কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, চারটি ইস্যু কেন্দ্র করে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ। বিষয়গুলো হলো বর্তমান মার্কেটের অবস্থা, নতুন আইনকানুন, গ্রিন বন্ড ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিসহ চারটি ইস্যুতে আইএমএফ প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদেরকে ব্রিফ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। সহযোগিতা করার ব্যাপারে তারা আশ্বাস দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো ফলপ্রসূ একটা বৈঠক হয়েছে।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এক বছর আগে এই প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল, সেই বৈঠকের পর থেকে আমাদের কী উন্নতি হয়েছে, তারা জানতে চেয়েছে। আমরা আমাদের উন্নতির বিষয়ে তাদের বলেছি।

তিনি বলেন, কিছু বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। বিশেষ করে একটি বড় ফান্ড সাপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বলেছি, এই সহযোগিতা পেলে আমাদের আগামীর কাজগুলো করা অনেক সহজ হবে।

এমন একটি সময় আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করছে, যখন দেশে ডলার সংকট চলছে। সংকট দূর হওয়ার পরিবর্তে বরং বাড়ছে। এই ডলার সংকটকালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। ঋণ পেতে চাইছে দেশ, অন্যদিকে ঋণ পেতে নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইএমএফ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঋণের সঙ্গে জুড়ে দেয়া শর্ত খতিয়ে দেখতে পরামর্শদাতা সংস্থাটির বিশেষ দল গত ৪ অক্টোবর ঢাকায় আসে। এই সময় তারা অংশীজনদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করবে। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলোÑআর্থিক খাতের স্থায়িত্ব, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, ব্যাংক খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারভিত্তিক রেটে লেনদেন, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন, টেকসই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, বন্ড মার্কেট, ডলার পরিস্থিতির অগ্রগতি। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।

আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। বর্ধিত তহবিল সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সানসেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার পর মোট ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ঋণের গড় সুদ হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০