Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:47 pm

আইএসবিএন

বিশ্বে কোটি কোটি বই রয়েছে। এর হিসাব রাখা সঙ্গত কারণেই দুরূহ। এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় হয়ে আছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বুক নাম্বার (আইএসবিএন)।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে এই পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়। তখন থেকে দেশটিতে বইয়ের হিসাব রাখতে এই নাম্বার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৭০ সালে আন্তর্জাতিকভাবে এ পদ্ধতি স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন আইএসও পদ্ধতিটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

আইএসবিএন পদ্ধতিতে একটি বইয়ের নাম্বারে পাঁচটি অংশ থাকে, যা ১৩ ডিজিটের হতে পারে। প্রথম অংশটি প্রিফিক্স। দ্বিতীয়টি দেশের কোড। তৃতীয়টি প্রকাশকের কোড। চতুর্থটি আইটেম নাম্বার কোড আর শেষেরটি চেক ডিজিট। বিষয়টি একটু খোলাসা করা যাক। ধরুন একটি বইয়ের ওপর লেখা আছে ওঝইঘ ৯৭৮ ১২৩ ৪৫৬ ৭৮৯ ০। প্রথম অংশটি সবসময় তিন ডিজিটের হয়ে থাকে, এটি ৯৭৮ অথবা ৯৭৯ হবে। দ্বিতীয় অংশ ১২৩ দিয়ে দেশকে বোঝানো হয়েছে। তৃতীয়টি ৪৫৬ দিয়ে প্রকাশনা সংস্থাকে বোঝানো হয়েছে। শেষের দুটির একটি নাম্বার কোড, অন্যটি চেক ডিজিট। প্রসঙ্গত ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১০ ডিজিটের আইএসবিএন পদ্ধতির প্রচলন ছিল। এরপর ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ডিজিটের ব্যবহার শুরু হয়। কেননা ১০ অংকের মধ্যে সব ভাষার বই আঁটছিল না।

মুদ্রিত বইয়ের ক্ষেত্রে আইএসবিএন প্রযোজ্য। ইলেকট্রনিক বুকের ক্ষেত্রেও এমন পদ্ধতি ব্যবহারের গবেষণা চালিয়ে

যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুবিধা

বইয়ের হিসাব রাখা যায়

বইটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায়

বই বিক্রির ক্ষেত্রে সুবিধা পান প্রকাশক

অন্য দেশে বইটি বিক্রি করতে চাইলে কিংবা দেশটির জাতীয় ক্যাটালগে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ হয়

বিবলিওগ্রাফিক তথ্য সঠিক রাখা সম্ভব

মেশিন-রিডেবল হওয়ার কারণে ভুলভ্রান্তি কম হয়