নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইতো নাওকি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে গতকাল তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়সহ বিশেষ করে ফাইভজিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এর বাইরে রাষ্ট্রদূত আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় আইটিইউ নির্বাচনে টেলিকমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডারাইজেশনের পরিচালক পদে জাপানের প্রার্থিতার কথা মন্ত্রীকে অবহিত করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপান বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের বড় অংশীদার।’ মন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণার বিপরীতে জাপানের সোসাইটি ফাইভ-পয়েন্ট জিরো ধারণাটিকে খুবই মানবিক উল্লেখ করে বলেন, ‘জাপান প্রথম মানুষকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং পরে যন্ত্রকে। আমরাও মনে করি, প্রযুক্তি মানুষের বিকল্প হতে পারে না।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘জাপান বিশ্বে প্রথম ফাইভজি প্রবর্তন করেছে, বাংলাদেশেও ফাইভজি প্রযুক্তিযুগে প্রবেশ করেছে। ফাইভজির আইটিইউ স্ট্যান্ডারাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গোটা দুনিয়াকে বদলে দিতে ভূমিকা রাখবে।’ জাপান এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আইটিইউ নির্বাচনে টেলিকমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডারাইজেশনের পরিচালক পদে জাপানের প্রার্থিতার বিষয়ে জাপানের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স মন্ত্রী কানেকোর একটি চিঠি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন। মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন, জাপানের প্রার্থিতার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী, তার বিভাগ কাজ করবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিও সদস্যপদ অর্জনের পর বাংলাদেশে বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের এই ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ও হেড অব ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট হারুতা হিরোকি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।