নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছেÑতা দুদক ও বিএফআইইউ আদালতকে জানাবে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রুলে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
অর্থ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর ও বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
পরে মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালে আইডিআরএ’র মেম্বার হন। ২০২০ সালে চেয়ারম্যান হন। রিট আবেদনকারী একটি উৎকোচ নেয়ার অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পারেন মোশাররফ হোসেন সদস্য ও পরবর্তীকালে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দুটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।
আইনের ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ী, ‘কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি বিমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সংস্থার বা এইরূপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোনো কোম্পানি বা সংস্থার (সরকারি বা বেসরকারি) পরিচালক বা অন্য কোনো পদে নিযুক্ত থাকেন।’
মোস্তাফিজুর রহমান খান আরও বলেন, ‘আমার আবেদনকারীর কাছে মনে হয়েছে, মোশাররফ হোসেনের চেয়ারম্যান পদে থাকাটা অবৈধ। এর আগে এই মর্মে একটি রিট করেছিলেন। সেই রিটে কোন অধিকারবলে মোশাররফ হোসেন পদে আছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।’
এরপর রিট আবেদনকারী আরও খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই দুটি কোম্পানির আয়কর বিভাগে দেয়া রিটার্ন নথিতে দেখতে পান কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তাহলে এ দুটি আয়হীন কোম্পানি। কোনো কর্মচারী থাকার কথা না। কিন্তু এ দুটি কোম্পানির কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড রয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন মোশাররফ হোসেন। আবার এ দুটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে।
অর্থ পাচারে ব্যবহার করছেন কি না এ অবস্থায় এসব বিষয়ে তদন্তে চিঠি দেন। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষগুলো কোনো ব্যবস্থা বা শুনানি নেননি। তাই তিনি রিট করেছেন বলে জানান আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।