প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করে। শ্রমিকরা দিনে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, তা আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। আইনানুযায়ী একজন শ্রমিক আট ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। তাকে দিয়ে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করাতে গেলে সেটা হতে হবে শর্তসাপেক্ষে। একই সঙ্গে মালিককে আইনানুযায়ী অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে।
সাপ্তাহিক কর্মছুটি
শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা অর্থাৎ সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার অধিক কাজ করবেন না। ৪৮ ঘণ্টার বেশি অর্থাৎ ৬০ ঘণ্টা হলে অতিরিক্ত কাজের জন্য তাকে ভাতা দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ বিশেষ শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার এ আইন শিথিল করতে পারে।
সাপ্তাহিক ছুটি
প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের জন্য সপ্তাহে একদিন ছুটি উপভোগের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বাৎসরিক ছুটি
শ্রম আইনে মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটির কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকরা ১৮ দিন কাজের জন্য একদিন ছুটি পাবেন। কিশোর শ্রমিকরা ১৫ দিনের কাজের জন্য একদিন ছুটি পাবে।
উৎসব ছুটি
সব শ্রমিক বছরে উৎসবের জন্য মজুরিসহ ১১ দিন ছুটি পাবেন। বছরের শুরুতে মালিক এ ছুটির দিন নির্ধারণ করে দেবেন। উৎসবের সময়ে ছুটি না দিয়ে কাজ করালে আইনানুযায়ী দুই দিনের মজুরিসহ ক্ষতিপূরণ ছুটি ও একদিনের ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।
নৈমিক্তিক ছুটি
সব শ্রমিক বছরে ১০ দিন মজুরিসহ নৈমিত্তিক ছুটি পাবেন।
অসুস্থতাজনিত ছুটি
সব শ্রমিক বছরে মজুরিসহ ১৪ দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি পাবেন। তবে এ ছুটির জন্য রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রের দরকার রয়েছে। অন্যথায় এ ছুটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
নারী শ্রমিকদের ছুটি
নারী শ্রমিকদের রাতে কাজের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। গর্ভবতী কর্মী মাতৃকালীন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন প্রসবের আগে ৮ সপ্তাহ, প্রসবের পর ৮ সপ্তাহ।
তথ্যসূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন