আইনের প্রয়োগ থাকলে মৃত্যুদণ্ড লাগত না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন অনুযায়ী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের শাস্তি নিশ্চিত করা হলে এখন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান করতে হতো না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গতকাল এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বুধবারের পত্রিকায় মৃত্যুদণ্ড খবরের পাশাপাশি আজকে সাতটি নারী ধর্ষণের ঘটনাও আছে। এই যে মৃত্যুদণ্ডের আইন হচ্ছে গত সাত দিন যাবত মানুষ জানে। কিন্তু সেটা (ধর্ষণ) থামছে না। না থামার কারণটা কী? আইনের প্রয়োগ নাই। কারণ এর আগেও আইন ছিল নারী নির্যাতনের দ্রুত বিচার করা, ৯০ দিনের মধ্যে। সেই ৯০ দিনের মধ্যে আলোর মুখ দেখে না এবং ৯ বছরেও বিচার হয় না। ৯০ দিনের মধ্যে যদি কার্যকর ব্যবস্থা হতো, বিচার হতো তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে কিন্তু আমৃত্যু কারাদণ্ড। তাহলে আজকে মৃত্যুদণ্ডে এই আইন পাস করতে হতো না।’

দেশে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদের মধ্যে ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করেছে সরকার। এর ফলে ভীতি তৈরি হয়ে ধর্ষণ কমবে বলে আশা করছেন সরকারের মন্ত্রীরা। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকলে শাস্তি বাড়িয়েও কোনো ফল আসবে না বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘কাগজে কলমে অনেক আইন আছে, কাগজে কলমে অনেক কিছু আছে। সংবিধানে যা আছে এবং যতটুকু আইন আছে তা যথেষ্ট ছিল বা যথেষ্ট আছে। কিন্তু সেই আইনের প্রয়োগ নাই। আজকে সরকার নিজেই সংবিধান মানে না। যে সংবিধান মানে না তাদের আইন কে মানবে?’

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা’ ছাড়া বিকল্প নাই মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে যে সামাজিক অবক্ষয়, লুটতরাজ সব কিছুই গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রের ফসল। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে মানুষের অধিকার থাকে না। যেখানে মানুষের অধিকার থাকে না সেখানে মানুষের নিরাপত্তা থাকে না। যেখানে আইনের শাসন থাকে না সেখানে কখনও অধিকার ভোগ করা যায় না।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০