Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:08 pm

আইনের বাইরে কেউ কিছু করতে পারবেন না: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন ও নীতিমালার বাইরে গিয়ে কাউকে কিছু করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর বনানীতে অবৈধ বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘যে যত প্রভাবশালী হোক না কেন, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। এ শহরে অবৈধ কোনো বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড থাকবে না। আমি নিজে এসে দাঁড়িয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে এসেছি।’ তিনি বলেন, সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ব্যবহারে অনুমতি নিতে হবে, সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স দিতে হবে। নিয়মের মধ্যে এসব ব্যবহার করতে হবে।

আতিকুল বলেন, ‘যা কিছুই করেন না কেন, সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু অনেকেই কোনো ধরনের আইন ও নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে যে যার মতো সাইনবোর্ড, শপ সাইন ও এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। অভিযানের সময় সবাই বলে, আমরা জানি না। কিন্তু আপনি যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন, সেখানে সাইনবোর্ডের মাপও উল্লেখ করা হয়েছে। তিন ফুট বাই চার ফুট সাইনবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যদি ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট সাইনবোর্ড তৈরি করেন, সেখানে যদি এলইডি লাইট লাগানো হয়, সেটা অবৈধ। এভাবে আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে আপনারা ব্যবসা করতে পারবেন না।’

ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ‘এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর ফলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, আকাশ দেখা যায় না। অবৈধভাবে সাইনবোর্ড যারা লাগান, তারা নিজেদের অনেক ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করেন। তারা ব্যবসা করছেন, তারা পয়সা বানাচ্ছেন। তবে অবৈধ কোনো ধরনের সাইনবোর্ড শহরে থাকতে পারবে না।’

আতিকুল বলেন, ‘অভিযান চলাকালে অনেকেই তাকে ফোন করে অনুরোধ করছেন, অনেকে সময় চাইছেন। কেউ বলছেন, আমার সাইনবোর্ডটা ভাঙবেন না। কেউ কেউ আমাকে বলছেন, আপনি তো ফোন রিসিভ করেন না। আমি সবাইকে বলতে চাই যখন মোবাইল কোর্ট চলবে, উচ্ছেদ চলবে, আমাকে কেউ ফোন করবেন না। ফোন করলেও আমি ধরব না।’

আগামী মাসে ডিএনসিসির অন্য এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির সব এলাকায় অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। গতকাল অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।

অভিযানে প্রায় ৫০টি অবৈধ বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এসব বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড নিলামে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।