নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্ধারিত সময়ে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের চার কোম্পানিকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হলো: আমান সি ফুড, বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্টস লিমিটেড, রোজ হ্যাভেন বলপেন ও রাসপিট ইঙ্ক (বিডি) লিমিটেড।
বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগের জুলাইয়ের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আমান সি ফুড ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ১৩৪ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারহোল্ডারদের দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। বিএসইসির পক্ষ থেকে এর কারণ দর্শানোর জন্য কোম্পানিকে শোকজ নোটিস দেওয়া হলেও কোম্পানিটি শুনানিতে আসেনি। এ-সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। যদি এই জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে কোম্পানির চেয়ারম্যানকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হবে।
বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্টস লিমিটেড ২০১৪ সালের সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ১৩৪ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারহোল্ডারদের দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। এছাড়া ৩১ মার্চ, ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। এ-সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. আতিয়ার রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। যদি এই জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হয় তাহলে কোম্পানির চেয়ারম্যানকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হবে।
বিএসইসি সূত্রে আরও জানা গেছে, রোজ হ্যাভেন বলপেন ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ১৩৪ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারহোল্ডারদের দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। বিএসইসির পক্ষ থেকে এর কারণ দর্শানোর জন্য রোজ হ্যাভেন বলপেনকে শোকজ নোটিস দেওয়া হলেও কোম্পানিটি শুনানিতে আসেনি। এ-সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুর রহমান চৌধুরীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। যদি এই জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হবে।
এদিকে রাসপিট ইঙ্ক (বিডি) লিমিটেড ৩০ জুন, ২০১৫ সালের সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ১৩৪ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারহোল্ডারদের দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বাধ্য থাকলেও কোম্পানিটি তা করেনি। বিএসইসি’র পক্ষ থেকে এর কারণ দর্শানোর জন্য রাসপিট ইঙ্ককে শোকজ নোটিস দেওয়া হলেও কোম্পানিটি শুনানিতে আসেনি। এ-সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। যদি এই জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে কোম্পানির চেয়ারম্যানকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হবে।
এছাড়া জুলাইয়ে কমিশন এএন্ডজে সিকিউরিটিজকে আইন লঙ্ঘনের দায়ে সতর্কপত্র দিয়েছে বলে জানা গেছে।