আইন লঙ্ঘনের দায়ে চার সিকিউরিটিজ হাউজকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চার সিকিউরিটিজ হাউজ ও ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসির একটি কোম্পানিকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের ৬১১তম সভায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে বলে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এম সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সিকিউরিটিজ হাউজগুলো হলোÑইন্ডিকেট সিকিউরিটিজ, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, আজম সিকিউরিটিজ এবং সায়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড। অন্যদিকে ওটিসির কোম্পানিটি হলো ঢাকা ফিসারিজ লিমিটেড।

ডিএসইর ১৫৪নং ট্রেকহোল্ডার ইন্ডিকেট সিকিউরিটিজ কনসালট্যান্টস লিমিটেড তাদের কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুলস, ৮এ(১), (২) এবং ৩(আইএ) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০-এর বিধি ১১ ও দ্বিতীয় তফসিলের আচরণবিধি ১ ও ৬ ভঙ্গ করেছে। গ্রাহকদের ঋণ চুক্তি ছাড়া ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর রুলস ৩(১) ও (২) লঙ্ঘন করেছে। একজন পরিচালককে ঋণ প্রদান করে কমিশনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া ইন্ডিকেট সিকিউরিটিজ কনসালট্যান্টস লিমিটেড গ্রাহকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকার অতিরিক্ত নগদ গ্রহণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুল ৮(১), (সিসি)(আই) এবং কমিশনের নোটিফিকেশন লঙ্ঘন করেছে। এসব অনিয়মের কারণে হাউজটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লিমিটেড তাদের কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুলস ৮এ(১), (২) এবং (২) ভঙ্গ করেছে। অনুমোদিত প্রতিনিধিদের নামে বিও হিসাব খুলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) রেগুলেশন ২০১৩ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০-এর বিধি ৪(২) (৪)-এর ডিড অব এগ্রিমেন্ট ভঙ্গ করেছে। কর্মচারী ও তাদের আত্মীয়দের নামে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। নগদ হিসাবে ঋণ প্রদান করে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর রুল ৩(১) এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে ঋণ প্রদান করে কমিশনের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে। এসব অনিয়মের কারণে হাউজটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

সায়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার নং ১০) তাদের কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুলস ৮এ(আই) ভঙ্গ করেছে। এছাড়া হাউজটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে। নগদ হিসাবে ঋণ প্রদান করে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর রুল ৩(২) ভঙ্গ করেছে। এছাড়া জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে ঋণ প্রদান করেছে সায়া সিকিউরিটিস। এসব অনিয়মের কারণে হাউজটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ডিএসইর ১৯নং ট্রেকহোল্ডার আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেড তাদের কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর ?রুলস ৮এ(আই) ভঙ্গ করেছে। অনুমোদিত প্রতিনিধিদের নামে বিও হিসাব খুলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) রেগুলেশন, ২০১৩ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০-এর বিধি ৪(২) (৪)-এর ডিড অব এগ্রিমেন্ট ভঙ্গ করেছে। পরিচালক ও তাদের আত্মীয়দের নামে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে। এছাড়া পাঁচ লাখ টাকার অতিরিক্ত নগদ গ্রহণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর ?রুল ৮(১), (সিসি)(আই)-এর লঙ্ঘন করেছে। এসব অনিয়মের কারণে হাউজটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

ঢাকা ফিসারিজ লিমিটেড ৩০ জুন ২০১৫ বছরের সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থতার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এর রুলস ১২ (৩এ)-এর লঙ্ঘন করেছে। অনুরূপভাবে সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫ সময়ে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থতার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭-এর রুল ১৩ এবং কমিশনের নোটিফিকেশন লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক পরিচালককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে কমিশন।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০