নিজস্ব প্রতিবেদক: আবুল খায়ের টোব্যাকো এবং এর ডিস্ট্রিবিউটর এএস এন্টারপ্রাইজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ অমান্য করে বিজ্ঞাপন প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়ে এ জরিমানা করা হয়।
গতকাল রাজধানীর রায়েরবাজারের জাফরাবাদে ডিস্ট্রিবিউরটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনটি হাতেনাতে ধরেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম অজিয়র রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অংশ নেন ডিএনসিসি’র নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুল খালেক মজুমদার, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড কেয়ারের প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে জান্নাত, এপিবিএন পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধি।
ডিএনসিসি’র নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুল খালেক মজুমদার জানান, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫-এর ৫ ধারায় মোবাইল কোর্ট আবুল খায়ের টোব্যাকোর ডিস্ট্রিবিউটরকে জরিমানা করেছেন। জাফরাবাদে আবুল খায়ের টোব্যাকো ও তার বিক্রয় প্রতিনিধি এএস ট্রেডার্সের কাছ থেকে তামাকের বিজ্ঞাপন সংবলিত গেঞ্জি, টুপি, ছাতা ও সিগারেটের খালি প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা সিগারেটের খালি প্যাকেট জমা নিয়ে খুচরো বিক্রেতাদের গ্লাস, বালতি, প্লেট, রাইসকুকার, পানির ফিল্টার, টিভি, টিফিনবক্স প্রভৃতি দেওয়ার লোভনীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ওই প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে সিগারেটের খালি প্যাকেট এবং কয়টি খালি প্যাকেট ফেরত (জমা) দেওয়ার পর কী পুরস্কার পাওয়া যাবে, এ-সংক্রান্ত লিফলেটসহ খালি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। আইনে তামাকের প্রচার নিষিদ্ধ ও পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণের কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে। ফলে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে আবুল খায়ের টোব্যাকোকে এক লাখ ও ডিস্ট্রিবিউটর এএস এন্টারপ্রাইজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।