নিজস্ব প্রতিবেদক: বিবিধ খাতের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত তহবিলের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, আইপিও তহবিলের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৫.৫ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে। মোট ১৯ হাজার ২৫০ বর্গফুটের এই ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন তিন হাজার ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া জানা গেছে, নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর কোম্পানিটির গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা আগের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়বে। আর এর মাধ্যমে কোম্পানিটির বছরে প্রায় ১৯৫ কোটি টাকার বিক্রি বেড়ে যাবে এবং মেশিনারিজের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হলে কর-পরবর্তী মুনাফা প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হবে।
উল্লেখ্য, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০১৮ সালে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের মধ্যে মেশিনারিজ কিনতে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ভবন নির্মাণে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং আইপিও খরচে দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করবে বলে জানিয়েছিল কোম্পানিটি।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬২ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ২০ লাখ ২৯ হাজার ১৮০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৩১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৩ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬৩ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৫৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৩৩ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৬৫ পয়সা ও ১২ টাকা ৭৯ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২২ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির আট কোটি ৪৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৪ দশমিক ৫৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক ৮৩।