Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 4:52 am

আইপিও’র ফান্ড ব্যবহারের সময় বাড়ল সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থ ব্যবহারের সময় বৃদ্ধির অনুমোদন পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোভিড-১৯ মহামারী এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সাপ্লাই-চেইনের বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে অতিরিক্ত ব্যয়ের চাপ, বাজারের অনিশ্চয়তা একই সঙ্গে কোম্পানিটি কিছু মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি সম্পন্ন করতে পারেনি। এজন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ তাদের আইপিও অর্থ ব্যবহারের সময় বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত এজেন্ডা আকারে গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হয়। আর ওই সভায় শেয়ারহোল্ডাররা অর্থ ব্যবহারের সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে। এখন কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারের জন্য ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস কমেছে ১০ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৭ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতীত) লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির (এনওসিএফপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৮৮ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৬ টাকা ৬৩ পয়সা।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৬৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৮ দশমিক ৪২ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৪ দশমিক ৫৫।