Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 8:24 am

আইপিও আবেদনে ব্যাংক সার্টিফিকেট দিতে চান না প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় শেয়ার কিনতে ব্যাংক সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার আদেশ বাতিল চায় প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা। প্রবাসী ২০ জন বিনিয়োগকারী গত মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বরাবর এ-সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ আগস্ট জারিকৃত বিএসইসির এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে অনিবাসী বাংলাদেশিদের আইপিও আবেদনে এফডিডির সঙ্গে ব্যাংক সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অনিবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠিয়ে, দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন, অথচ দেশে বিনিয়োগে তারা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, আইপিওতে একটি আবেদনে নির্দিষ্ট টাকার পাশাপাশি ভোটাধিকার প্রকাশ নথি (এফডিডি) বাবদ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এর সঙ্গে এখন ব্যাংক সার্টিফিকেট যুক্ত হওয়ায় প্রতি আবেদনে আরও অতিরিক্ত ৫৭৫ টাকা খরচ হবে। এতে সর্বমোট খরচ দাঁড়াবে এক হাজার ৭৫ টাকা।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী মো. শাহজাহান নামের এক প্রবাসী বিনিয়োগকারী শেয়ার বিজকে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনটি পয়লা আগস্ট জারি হলেও আমরা হাতে পেয়েছি এর ৫-৬ দিন পর। অথচ আমরা নেটওয়ার্কের আইপিও আবেদন শুরু হয়েছে ৬ আগস্ট, যা চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হলেও এখনও কোনো ইতিবাচক সংবাদ পাইনি।’  কথা হয় মো. হানিফ নামের আরেক প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সঙ্গে। তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, ‘কোন কোম্পানিতে অনিবাসী আইপিও আবেদন পড়ে প্রায় ২৫-৩০ গুণ। সেখানে এ অতিরিক্ত টাকা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে। প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারমুখী করতে হলে ব্যাংক সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারের এ নাজুক অবস্থায় আমরা প্রবাসীরা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। তার ওপর এ বাড়তি চাপ আমাদের নিরুৎসাহিত করবে, যা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি।’

উল্লেখ্য, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইপিও প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হয় বৈদেশিক মুদ্রায়।