নিজস্ব প্রতিবেদক: বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) স্থান নির্ধারণ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির ৩৮তম এজিএম আগামী ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশান ১-এ সেলেব্রিটি কনভেনশন হলে (অটবি সেন্টার, লেভেল-৬, প্লট-১২, ব্লক-সিডব্লিউএস (সি), গুলশান সাউথ অ্যাভিনিউ, ঢাকা-১২১২) অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ৩৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মার্চ।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে সাত শতাংশ নগদ ও আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ছয় পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৯ শেয়ার মোট ১৭২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।
আর ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ২০ শতাংশ বোনাস শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮৫ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২২ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ৫২১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪০ শতাংশ শেয়ার, সরকারি ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে আট দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১২ দশমিক ১৮।