শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পদক্ষেপের পর আইফোন ১২-এর বিকিরণ পরীক্ষা করে দেখার কথা জানিয়েছে জার্মানিও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো কয়েকটি দেশও ফ্রান্সের পথ অনুসরণ করতে পারে। খবর: ডয়চে ভেলে।
গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রক সংস্থা-এএনএফআর ফ্রান্সে আইফোন-১২ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে অ্যাপলকে। ফোনটির বেতার তরঙ্গের বিকিরণ আইনগত মাত্রার চেয়েও অতিরিক্ত বলে তাদের পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। ফ্রান্সের পদক্ষেপের পরে ইউরোপের অন্য দেশগুলোও নড়েচড়ে বসেছে।
জার্মানির সরকারি সংস্থা বিনেটসএ জানিয়েছে, তারাও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। এ বিষয়ে ফ্রান্সের সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দেশটির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি।
বেলজিয়ামের ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ম্যাথিউ মিশেল জানিয়েছেন, ‘আইফোন-১২ এর স্বাস্থ্যঝুঁকি পরীক্ষা করে দেখার তিনি দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দিবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের নিরাপদ রাখা আমার কর্তব্য।’
এদিকে ফ্রান্সের পদক্ষেপের পর বুধবার নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে অ্যাপল। আইফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ২০২০ সালের শেষের দিকে রিলিজ হওয়া আইফোন ১২ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত এবং বিকিরণের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রযোজ্য সব বিধিবিধান এবং মান মেনে চলেছে। তবে একাধিক নিরপেক্ষ বিশ্লেষণের তথ্য উপস্থাপন করে অ্যাপল বলেছে, আমরা ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএনএফআরের সঙ্গে কাজ করব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মোবাইল ফোন থেকে বিকিরিত রেডিয়েশন মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। এ বিষয়ে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নিম্নমাত্রায় তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর-এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক টিউমার বিকশিত হতে কয়েক বছর সময় নেয়। তাই সেলফোনের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বলে উপসংহারে আসা কঠিন। বিশেষজ্ঞরা তাদের সেলফোন বিকিরণ এক্সপোজার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের ইয়ারফোন ব্যবহার করার বা টেক্সট করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে ফ্রান্স আইফোন ১২ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পর এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরো দেশে জনপ্রিয় স্মার্টফোনের এই মডেলটি নিষিদ্ধ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।