শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি মন্ত্রীরা এ রায় প্রত্যাখ্যান করে জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসকে পরাজিত করার লক্ষ্যে দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। খবর: রয়টার্স।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ। নিহত হওয়ার ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যা ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করেছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতের শুক্রবারের রায়টি দেশটিকে বিশ্ব থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দেশটির এমন অভিযোগকে ‘মিথ্যা, আপত্তিকর ও নৈতিকতাবিরুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। এক বিবৃতিতে কার্যালয়টি জানিয়েছে, নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই নিজ ভূখণ্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করার অধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে ইসরায়েল। দেশটি জানিয়েছে, রাফায় অভিযানগুলো এমনভাবে পরিচালনা করা হবে না, যা গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে বা গাজার সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস ডেকে আনবে।
এদিকে রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে আইসিজের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, আইসিজের তদন্ত কমিটির সঙ্গে সহযোগিতায় হামাস অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে আইসিজের নির্দেশে গাজায় চলমান সংঘাতের ধ্বংসযজ্ঞের পুরো স্বীকৃতি আসেনি বলে উল্লেখ করেছেন বাসেম নাইম। তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি এটি যথেষ্ট নয়। কারণ গাজা উপত্যকাজুড়ে বিশেষ করে উত্তর গাজায় দখলদারদের আগ্রাসন একেবারে নৃশংস ও বিপজ্জনক। আইসিজের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই হামাস কর্মকর্তা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস হামলা চালায়। হামাসের ওই হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন বলে দাবি ইসরায়েলের। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, এসময় আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এই হামলার জবাবে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন এখনও চলমান।
