Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:01 pm

আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:‘আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। কোথাও আমরা ভূমিকা পালন করছি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, কোথাও পরামর্শক হিসেবে, আবার কোথাও সহায়ক হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ আমাদের শিখিয়েছেন কাজগুলো করতে হবে আইসোলেটেড ওয়েতে নয়, বরং হোল অব গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে, কোলাবোরেশন এবং কো-অর্ডিনেশন মাইন্ডসেট নিয়ে।’

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানে দি ওয়েস্টিন হোটেলে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের লঞ্চিং সিরেমনি’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন অভিমত তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, সরকার ব্যবসা করবে না, কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাজ করলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমরা যে নিজেদের শক্তিশালী মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি, তার মূল তিনটি শক্তি হলোÑকৃষি, পোশাক ও প্রবাসী। এই কৃষি, পোশাক ও প্রবাসীÑএই তিনটি সেক্টর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।

তিনি বলেন, একদিকে প্রবাসী ভাইবোনেরা আমাদের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। অন্যদিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাইবোনেরা ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছেন। কৃষিতে সাড়ে তিন কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। সে কারণে আমরা স্যালুট জানাই আমাদের এক কোটি ২০ লাখ ভাইবোনদের, যাদের রক্ত, ঘাম ও শ্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের বেতন-ভাতা হয়, রাস্তাঘাট হয়। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদাগুলোর মূল জোগান দেয় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয়, কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। এরই মধ্যে অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে, যার একটি উদাহরণ হলো বিএমইটি ডেটাবেজ। তিনি বলেন, বিএমইটির একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো। এখন আর অ্যানালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্মীদের যেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না হয়। কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের তাতে সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মাদ আবুল বাশার। এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা।