আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড এবং বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড: আগামী ২৮ মার্চ বেলা ২টা ৩০ মিনিটে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা (লোকসান)। এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৩ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৪ পয়সা। এর আগের হিসাববছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস হয়েছে ২৮ পয়সা (লোকসান)। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৪ পয়সা (লোকসান)। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয় সাত পয়সা (লোকসান)।

ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা হলেও পরিশোধিত মূলধন ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে তাদের ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ দুই হাজার ৩০০ শেয়ার বিদ্যমান, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫২ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার, সরকারি শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ২৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: আগামী ২৭ মার্চ বেলা ২টা ৩০ মিনিটে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৬৬ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৮ টাকা ৬৫ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৬১ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৭৫ পয়সা।

বিবিধ খাতের এ কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর রিজার্ভে রয়েছে ২৭৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৫টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ এবং ২৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০